কাঠ বাদাম এর উপকারিতা - কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা- মেথি খাওয়ার নিয়মআজকে আমরা আলোচনা করতে চলেছি কাঠ বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে। কাঠ বাদাম
পুষ্টিকর ড্রাই ফুড গুলোর মধ্যে অন্যতম। কাঠ বাদামের পুষ্টিকর উপাদান আমাদের
শরীরে স্বাস্থ্য ভালো করে। নিয়মিত কাঠ বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এত গুণসম্পন্ন হওয়া সত্বেও আমরা অনেকেই কাঠ বাদাম এর
উপকারিতা সম্পর্কে জানিনা।
তাই আজকের এই আর্টিকেলে কাঠ বাদাম এর উপকারিতা ও কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা কাঠ বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে জানার জন্য
অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি, তাদের জন্য আজকের এই
আর্টিকেল কাঠ বাদাম এর উপকারিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাই আজকের এই
আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়ে নিন। তাহলে জানতে পারবেন কাঠ
বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে।
কাঠ বাদাম কি
কাঠবাদামের বিভিন্ন উপকারিতা জানার আগে জানা দরকার কাঠ বাদাম কি। কাঠ বাদাম হল
একপ্রকার বীজ যা গাছের ফল বা শক্ত খোলসের মধ্যে আবরণ কৃত একপ্রকার বাদাম ফল। কাঠ
বাদামের শক্ত খোলসের ভিতরের অংশ খাওয়া যায়। এই বাদাম পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ উপাদান
যা আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও কাঠবাদামে থাকা পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করেন। এবং
স্বাস্থ্য ঠিক রাখে। কাঠ বাদামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি কর উপাদান যেমন ফলিক
এসিড ও অ্যামাইনো এসিড ইত্যাদি। এছাড়াও কাঠ বাদামে রয়েছে আরও বিভিন্ন ভিটামিন
যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এজন্য কাঠবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। চলুন নিচে আর্টিকেলে কাঠ
বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে এবং কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেয়।
কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ
কাঠ বাদাম পুষ্টিকর ড্রাই ফুড এর মধ্যে অন্যতম।বিভিন্ন ধরনের বাদামের মধ্যে কাঠ
বাদাম বেশি জনপ্রিয়। কেননা ড্রাই ফুড গুলোর মধ্যে কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ সবচাইতে
বেশি। কাঠ বাদামে রয়েছে আঁশ বা ফাইবার, প্রোটিন, উপকারী ফ্যাট, মিনারেলস ও
ভিটামিন সহ বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের Food Data Central(FDC) সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যমতে প্রতি ১
আউন্স(২৮.৪ গ্রাম) পরিমাণ পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঠ বাদামের মধ্যে খাবারের পুষ্টি
উপাদান কি পরিমান বিদ্যমান নিচে তা দেওয়া হল-
কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
পুষ্টিকর ড্রাই ফুড কাঠবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ফসফরাস, জিংক,
ক্যালসিয়াম, কপার, আইরন, সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। পুষ্টিগুনে ভরপুর কাঠবাদাম
স্বাসতন্ত্রের সমস্যা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়,এছাড়াও কাঠ বাদাম
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং রক্তে স্বল্পতা দূর করে। এটি আমাদের ত্বক ও চুলের জন্য
খুবই ভালো কাজ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন একমুঠো করে কাঠ বাদাম খেলে এই উপকার গুলো পেতে সাহায্য
করবে আপনাকে।প্রতিটি মানুষের শরীরে জন্য প্রয়োজনীয় উপকারী ফ্যাট উৎস হিসেবে কাঠ
বাদামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। নিচে কাঠ বাদামের উপকারিতা সমূহ আলোচনা করা হলো-
মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাঠবাদামে থাকা পুষ্টিগুণ খুব উপকারী।
মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় দুটি পুষ্টিগুণ রিবোফ্লাভিন ও এল ক্যারনিটিন থাকে
কাঠ বাদামে। এই উপাদান দুটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাঠ বাদাম
স্মৃতিভ্রম রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী উপাদান।
প্রতিদিন ৪-৬ টি কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খেলে মানুষের মস্তিষ্কের কাজের উন্নতি ঘটে।
আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে ফ্যাট হিসেবে কাঠবাদাম বিশেষ ভূমিকা রাখে। এছাড়া
কাঠবাদাম বাড়ন্ত বাচ্চাদের বুদ্ধি বিকাশের জন্য কাঠবাদাম খুব ভালো একটি উপাদান।
ক্যানসার প্রতিরোধে
কাঠবাদামে থাকা পুষ্টি উপাদান কোলোন ক্যানসার প্রতিরোধে করতে সাহায্য করে।
কাঠবাদামের উপাদান গুলো কোলনকে ভালো রাখতেও কাজ করে। কাঠ বাদামের ফাইবার আমাদের
শরীরের জন্য খুব উপকারী।
হার্টের সুস্থতায়
প্রতিদিন নিয়ম করে ভেজানো কাঠবাদাম খেলে হার্ট ভালো থাকে। কাঠবাদামে প্রচুর
পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম,প্রোটিন,পটাশিয়াম সহ বিভিন্ন উপকারী উপাদান থাকে। যা
হার্টের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কাঠ বাদামে থাকা ভিটামিন ই হৃদরোগের
ঝুঁকি কমায় এবং এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হার্ট এটাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে। নিয়মিত বাদাম খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি
৫০%কমে যায়।।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে
কাঠবাদামে থাকা উপাদান ইনসুলিন এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় বলা
হয় প্রতিদিন খাবারের পরে কাঠবাদাম খাওয়া ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও শরীরে বাজে কোলেস্টরেলের মাত্রা কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাঠ বাদাম কাজ করে। কাঠ বাদামে থাকা ফসফরাস যা উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কাঠবাদামে থাকা সোডিয়াম রক্তচাপের গতিকে
নিয়ন্ত্রণ করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক
বাদাম খাওয়ার পর খিদে কমে যায় যার ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।
এছাড়াও শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে আনে।
এছাড়াও বিপাকের হার বৃদ্ধি করে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে ও কাজ করে।কাঠবাদাম কোলোন
ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে
কাঠবাদাম শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। প্রতিদিন ডায়েটের সাথে
কাঠবাদাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তা করার দরকার
নাই। বাধাবে থাকা বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে
দেয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়।কাঠবাদামে থাকা
ফসফরাস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
হাড় ও দাঁত ভালো রাখে
কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন, মিনারেল ও ফসফরাস হার ও দাঁতকে সুরক্ষা দেয়। কাঠ বাদামে
থাকা ফসফরাস কেবল হার ও দাঁতকে মজবুত করে না বরং এটি অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের
ক্ষয় রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
হাড় এবং দাঁতের সুস্বাস্থ্য এবং দায়িত্ব বৃদ্ধি করতে ফসফরাসের গুরুত্ব
বেশি।এছাড়াও বয়স জনিত হাড় ও দাঁতের সমস্যা তৈরি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে
ফসফরাস বেশি কার্যকরী। নিয়মিত কাঠবাদাম সেবনের ফলে ফসফরাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়
বাদামে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান। যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে। কি পরিমান পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা জানা
দরকার।বাদামে রয়েছে প্রায় ৩.৫ গ্রাম ফাইবার, ৬ গ্রাম প্রোটিন, ১৪ গ্রাম ফ্যাট সহ
ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি২, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম। বাদামে থাকা এই
সবকটি উপাদানই আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ প্রয়োজনে লাগে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
বাদামে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। আর্জিনিন এবং হেলদি ফ্যাটের সঙ্গে
কাঠবাদামে থাকা এই ফাইবারের উপস্থিতি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদের
ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। ফাইবারযুক্ত এই কাঠবাদাম খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা
কমে।
কোষের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
কাঠবাদামে থাকা ভিটামিন ই শরীরের প্রতিটি কোনায় ছড়িয়ে থাকা কোষগুলোর
কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার সাথে সাথে শরীরের যাতে কোন ক্ষতের সৃষ্টি না হয় সেই
দিকে খেয়াল রাখে। যার ফলে বয়স বৃদ্ধির সত্বেও শরীরের উপর এর কোন প্রভাব পড়ে
না। এছাড়াও কাঠবাদাম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
শক্তি বাড়ায়
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা প্রতিদিন নিয়মিত এক মুঠো কাঠবাদাম খেয়েছে। তাদের
শরীরে স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় শক্তি অনেক বেশি দেখা গিয়েছে। কাঠবাদাম এর
মধ্যে থাকা ম্যাঙ্গানিজ, কপার ও রিবোফ্লাবিন শরীরে শক্তি জোগায়। এটি বিপাক
প্রক্রিয়া ভালোভাবে হতেও সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
বাদামে থাকা বিভিন্ন উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কাঠবাদাম অ্যালকালাইন সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর খাবার। কাঠ বাদামের মধ্যে রয়েছে
ভিটামিন ই এবং অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগের
হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
যেমন একটি জিনিসের উপকারিতা আছে তেমনি সেই জিনিসের অপকারিতা ও থাকে। নিয়ম করে
খাওয়ার ফলে যে জিনিসের উপকার পাওয়া যায়। সেই জিনিস যদি নিয়মের অতিরিক্ত অথবা
নিয়মের কম খাওয়া হয় সে ক্ষেত্রে উপকারের তুলনায় ক্ষতির দিকটাই বেশি
হয়।
তাই কোন কিছু খাওয়ার আগে নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী। তাই এই অংশে কাঠ বাদাম
খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে জানতে চান তারা নিচে দেখে নিন-
- সাধারণত একজন ব্যাক্তির প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ টি কাঠবাদাম খাওয়া উচিত। এর বেশি খেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যাদের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে, তারা খালি পেটে কাঠ বাদাম খাবেন না ভরা পেটে খাবেন। কারণ কাঠবাদামে অনেক ভিটামিন থাকার কারণে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
- কাঠ বাদাম পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া উচিচ। কারণ শুকনো কাঠ বাদাম থেকে ভেজানো কাঠবাদাম এর গুণগত মান অনেক বেশি থাকে।
- রাতে কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত নয়। তবে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ভেজানো কাঠবাদাম এবং কাঠবাদাম ভেজানো পানি দুইটোয় খেতে পারেন।
- কাঠবাদাম গুঁড়া করে বিভিন্ন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। বিশেষ করে উষ্ণ গরম দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো ফলাফল পাবেন।
- কাঠ বাদাম ৬-৭ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং খাওয়ার আগে কাঠবাদামের ওপরে থাকা পাতলা খোসা তুলে ফলতে হবে।
- কাঠবাদাম বাচ্চাদের খাওয়ানোর ক্ষেত্রে অন্য কোন ফলের সাথে মিশিয়ে জুস বানিয়ে খাওয়াতে হবে।
কাঠ বাদামের দাম
আপনি যদি কাঠবাদাম বাজার থেকে অথবা অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয় করতে চান ক্রয় করতে
পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ভালো মানের কাঠবাদাম সংগ্রহ করে ক্রয় করতে হবে।
এবং ক্রয় করার ক্ষেত্রে অবশ্যই বাজার যাচাই করে ক্রয় করবেন। আপনাদের সুবিধার্থে
নিচে কিছু ভালো মানের কাঠবাদামের দাম তুলে ধরা হলো।
তবে একটি কথা মনে রাখবেন আপনি যখন কাঠবাদাম ক্রয় করবেন তখন এর সাথে দামের কম
বেশি হতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো আপনি কাঠবাদাম ক্রয় করবেন তখন বাজার যাচাই করে
ভালো মানের কাঠবাদাম ক্রয় করবেন-
প্রতিদিন কয়টা কাঠবাদাম খাওয়া উচিত
উপরে আমরা আলোচনা করে এসেছি কাঠ বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে এবং অপকারিতা
সম্পর্কে। এছাড়াও আলোচনা করা হয়েছে কাঠবাদামের গুনাগুন সম্পর্কে।অনেকেই জানেনা
কাঠ বাদাম প্রতিদিন কয়টি করে খেতে হয়। আলোচনার এই অংশের প্রতিদিন কয়টি করে
কাঠবাদাম খাওয়া উচিত এই বিষয়ে আলোচনা করব।
কারণ পরিমাণ মতো কাঠবাদাম না খেয়ে পরিমাণের তুলনায় বেশি খাওয়া হলে উপকারের
তুলনায় অপকার বেশি হবে। তাই অবশ্যই জানা দরকার প্রতিদিন কয়টা কাঠ বাদাম খাওয়া
উচিত। পরিমাণ অনুযায়ী প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ টি কাঠবাদাম খাওয়া যেতে পারে। তবে
জানা গেছে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ টি কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেলে মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা
বৃদ্ধি পায়।
বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের কার্যকর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৪
থেকে ৫টি করে কাঠ বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। এতে করে শিশুদের মস্তিষ্কের
কার্যকর ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। ফলে পড়াশোনায় উন্নতি হবে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী
হবে। এছাড়া কাঠবাদাম বিভিন্ন রোগের প্রতিকার করতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতীকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো জরুরি। এতে করে মা ও
শিশু সমান ভাবে উপকৃত হয়। যার ফলে গর্ভের সন্তান সুস্থ এবং পুষ্টি সম্পন্ন হয়।
আপনারা জানেন গর্ব অবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তেমনি গর্ব
অবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়মও রয়েছে। গর্ভাবস্থায় যেকোনো খাওয়ার আগে
সতর্কতার সাথে খাওয়া জরুরী।
তাছাড়া গর্ভাবস্থা এবং গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এখন আমি
আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। গর্ভাবস্থায় মায়েরা
কাঠবাদাম খেতে পারবেন তবে অবশ্যই ভিজিয়ে রেখে খেতে হবে। এক্ষেত্রে আগের দিন
কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে ভিজানো কাঠবাদামের খোসা ছাড়িয়ে খেতে
পারেন।
এতে করে বাচ্চা এবং মা দুজনেই ভালো উপকার পাবে। এছাড়া আরো ভালো উপকার পেতে
প্রতিদিন সকালে খাবার সময় একগ্লাস দুধের সঙ্গে দুই থেকে তিনটি কাঠবাদাম মিশিয়ে
খেতে পারে। এতে করে গর্ভবতীর শরীর স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে।
শেষকথা-কাঠ বাদাম এর উপকারিতা
উপরের আর্টিকেলে আজকে আমরা আলোচনা করেছি কাঠ বাদাম এর উপকারিতা সম্পর্কে। উক্ত
আলোচনা থেকে আপনারা অবশ্যই কাঠবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
কাঠবাদাম বিভিন্ন উপাদানে ভরপুর। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজকর্মে শক্তি
অতিবাহিত করতে হয়। যদি পরিমাণ মতো খাবার না খাওয়া হয় তাহলে শরীর একটা সময় শেষ
হয়ে যায়।
এমনি শরীরের বিভিন্ন ঘাটতি পূরণে কাঠবাদাম এর ভূমিকা ব্যাপক। এছাড়াও শিশুদের
মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে কাঠ বাদামের ভূমিকা অনেক। এবং বিভিন্ন রোগের প্রতিকার করতে
কাঠবাদামের গুনাগুন বেশ কার্যকর। আজকের আলোচনা যদি আপনার ভালো লাগে। তাহলে আপনার
বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না।এবং আজকের এই আর্টিকেলে কোন ভুল তথ্য থাকলে
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url