কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

ইতালি ভিসা আবেদন ফরম 2024 ,(বিস্তারিত জেনে নিন)আজকের আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আলোচ্য বিষয় কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়। বর্তমান সমাজে কালো লোকের তুলনায় ফর্সা লোকের কদর বেশি। চাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং আতিথেয়তায় ফর্সা লোকের অগ্রাধিকার বেশি। তাই যারা কালো তাদেরকে এমন কিছু উপায় বলে দেব। 
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
যদি তারা সেই উপায়গুলো অবলম্বন করেন তাহলে অবশ্যই কালো নামের এই অভিশাপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তো চলুন দেরি না করে জেনে নিই কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। আপনি যদি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন। তাহলে জানতে পারবেন কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

৩দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

ত্বকের রং জ্বীন গত বৈশিষ্ট্য বা মেলানিক নামক রঞ্জক পদার্থের উৎপাদনের দ্বারা নির্ধারিত হয়।মেলা নিনের পরিমাণ আপনার ত্বককে হালকা অথবা গারো করতে কাজ করে। আপনার গায়ের রং পরিবর্তন করার জন্য মেলানিনের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য তিন দিনে উল্লেখযোগ্যভাবে ফর্সা করা সম্ভব নয়।
তবে কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং টোন উন্নত করতে পারে। এক্ষেত্রে নিচে দেওয়া পদক্ষেপগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বক ফর্সা হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন: সূর্যের অতিবেগুনী (UV) রশ্মি ত্বকে মেলানিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যার ফলে ত্বকের রঙ গাঢ় হতে পারে। প্রতিদিন SPF 30 বা তার বেশি সহ ব্রড-স্পেকট্রাম সানস্ক্রিন ব্যবহার করে UV রশ্মি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করুন।
  • ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করুন: নিয়মিত স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করে আপনার ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করুন। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং একটি মসৃণ চেহারা দিতে সাহায্য করবে।
  • ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান ব্যবহার করুন: কিছু ত্বকের যত্নের পণ্যে ভিটামিন সি, কোজিক অ্যাসিড এবং লাইকোরিস রুটের মতো ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান থাকে। এই উপাদানগুলি মেলানিন উৎপাদন কমাতে এবং ত্বকের রঙকে হালকা করতে সাহায্য করতে পারে।
  • ঘরে তৈরি ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন: দই, লেবুর রস, এবং হলুদ ব্যবহার করে আপনি ঘরে তৈরি ফেস মাস্ক তৈরি করতে পারেন। এই উপাদানগুলিতে ত্বক উজ্জ্বলকারী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার ত্বকের রঙকে হালকা করতে সাহায্য করতে পারে।
  • প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন: হাইড্রেটেড থাকা আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করার চেষ্টা করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান: ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া আপনার ত্বকের সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। ফল, শাকসবজি, এবং গোটা শস্য খাওয়ার উপর মনোযোগ দিন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম পান: ঘুমের সময় আপনার ত্বক নিজেকে মেরামত করে এবং পুনর্জীবিত করে। প্রতি রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের চেষ্টা করুন।
  • ধূমপান এড়িয়ে চলুন: ধূমপান ত্বকের ক্ষতি করে এবং বয়সের লক্ষণগুলি ত্বরান্বিত করে। ধূমপান ত্যাগ করলে আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য এবং চেহারা উন্নত হতে পারে।

ভেতর থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

বাজারে অনেক ধরনের ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায়। যেগুলো ক্রিম ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক অতি তাড়াতাড়ি ফর্সা হয়ে যায়। কিন্তু কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম এর ব্যবহারের ফলে উপরের চামড়াটুকুই ফর্সা করে। ভেতর থেকে ফর্সা করে না। যার কারণে কিছুদিন পরে যখন ক্রিম ব্যবহার করা বন্ধ করা হয়। তখন ত্বক আগের তুলনায় আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। এর কারণ হলো ত্বকের উপরের অংশ কেমিক্যাল যুক্ত ক্রিম ব্যবহারের ফলে পুড়িয়ে ফেলে।
যার ফলে কালো ত্বক ফর্সা হয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পরে যখন ক্রিম ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায় তখন ভেতর থেকে সে কালো চামড়া আবার নতুন করে তৈরি হয়। এবং সেটি আগের তুলনায় আরো বেশি গারো কালো হয়। এজন্য আপনার ত্বককে ভিতর থেকে ফর্সা করার জন্য কোন ক্রিম নয় বরং কিছু উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যার ফলে ভেতর থেকে আপনার ত্বক ফর্সা হবে-
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুনঃ ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা উচিত।
  • ফল ও শাকসবজিঃ ভিটামিন এ, সি, ই সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি বেশি বেশি খাওয়া। যেমন, পেঁপে, কমলালেবু, ব্রকলি, পালংশাক ইত্যাদি।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যেমন, ব্লুবেরি, ডার্ক চকলেট, আখরোট ইত্যাদি খাওয়া প্রয়োজন।
  • ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডঃ মাছের তেল, আখরোট, বীজ ইত্যাদি খাবারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা ত্বকের জন্য খুব উপকারী।
  • দইঃ দই ত্বকের জন্য প্রবায়োটিক এবং প্রোটিনের ভালো উৎস উৎপন্ন করে।
  • জলপাই তেলঃ জলপাই তেলে ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের জন্য ভালো।
  • পর্যাপ্ত ঘুমঃ প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
  • চাপ কমানঃ মানসিক চাপ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই যোগব্যায়াম, ধ্যান ইত্যাদি করে মানসিক চাপ কমান।
  • নিয়মিত ব্যায়ামঃ নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত ​​সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।
  • ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগঃ ধূমপান ও মদ্যপান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
  • সূর্য থেকে ত্বক রক্ষাঃ বাইরে বের হওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • ত্বকের যত্নঃ আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিন।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

বর্তমান সময় ফর্সা মানুষের মূল্যায়ন বেশি করা হয়। যার কারণে কালো মানুষ তাদের ত্বককে উজ্জ্বল ফর্সা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। ফল হিসাবে প্রথম অবস্থায় খুব ভালো দেখা দিলেও আস্তে আস্তে তা খারাপের দিকে ধাবিত হয়। একটা সময় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় আগের তুলনায় অনেক খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়। এজন্য এই সমস্যার সমাধান করার জন্য আজকের এই আর্টিকেল কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় লিখা হয়েছে। 
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে কিভাবে কালো থেকে ফর্সা হওয়া যায়। এবং কিভাবে ভেতর থেকে ফর্সা হওয়া যায়। এছাড়াও এই আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনার যত প্রশ্ন আছে আশা করি সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে। তো চলুন দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে নেই।

ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ত্বক ফর্সা করা অনেকটা কঠিন ব্যাপার। কারণ সূর্যের আলো ত্বকের উজ্জ্বলতাকে অনেকটা ক্ষতি করে। আর ছেলেদের প্রতিনিয়ত বাহিরে সূর্যের আলোর নিচেই চলাচল করতে হয়। এজন্য ছেলেদের ক্ষেত্রে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য অনেকটা কঠিন ব্যাপার। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই ভালো ফলাফল আশা করা যায়। যেমন-
  • নিয়মিত মুখ ধোয়া: দিনে দুই বার মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
  • ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার: ত্বক শুষ্ক রোধ করতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার: ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি থেকে রক্ষা করার জন্য SPF 30 বা তার বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • এক্সফোলিয়েট করা: সপ্তাহে দুইবার মৃদু স্ক্রাব দিয়ে ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন।
  • মুখোশ ব্যবহার: ত্বক উজ্জ্বল করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান যেমন লেবুর রস, দই, মধু ব্যবহার করে মুখোশ ব্যবহার করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম: প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার: প্রচুর ফল, শাকসবজি, এবং পূর্ণ শস্য সমৃদ্ধ খাবার খান।
  • পানি পান: প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
  • ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার: ধূমপান ও মদ্যপান ত্বকের ক্ষতি করে।
  • চাপ কমানো: নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, ধ্যানের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমান।

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকে ফর্সা হওয়ার জন্য। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত কসমেটিক সামগ্রী ব্যবহার করে থাকে। এতে করে অনেক টাকা পয়সার খরচ হয়ে যায়। কিন্তু ঘরোয়া উপাদান ব্যবহারের ফলে আপনি দামী দামী কসমেটিক্স ব্যবহারের ফলে যে উপকার পাওয়া যায়।
তার চেয়ে অনেক ভালো উপকার পাওয়া যায় এবং ঘরোয়া উপায় গুলো দীর্ঘস্থায়ী এবং স্থায়ী হয়। তাই অতিরিক্ত অর্থ খরচ না করে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে কালো থেকে ফর্সা হওয়া যায়। তো চলুন ঘরোয়া উপায় গুলো আলোচনা করি।

হলুদ

হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ হলুদের গোড়ার সাথে ১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ১০ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

দইঃ

দই এর ল্যাক্টিক এসিড মৃত ত্বকের কোষ দূর করতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এজন্য নিয়মিত দই ব্যবহার করা ত্বকের জন্য খুব উপকারী।

বেসনঃ

বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং মুখ উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এক চা চামচ বেসনের সাথ.১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান.১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

লেবুর রসঃ

লেবুর রস ভিটামিন সি থাকে যা ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং দাগ দূর করতে সাহায্য করে।১ চা চামচ বেসনের সাথ.১/২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

শসা ও অ্যালোভেরা জেলঃ

শসা ও অ্যালোভেরা জেল ত্বক ঠান্ডা করে এবং হাইড্রেট করে.১/২ টেবিল চামচ শসার রসের সাথে ১/২ চা চামচ এলোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে লাগান.১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।

গোলাপ জলঃ

গোলাপ জল ত্বককে টোন করে এবং উজ্জ্বল করে। তুলার পাতা গোলাপ জলে ভিজিয়ে মুখে মুছে ফেলুন।

স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় ২০২৪

সৌন্দর্যের পরিমাপক একক হয় না তবুও আমাদের সমাজে ফর্সা রং কে বেশি আকর্ষণীয় বলে স্বীকার করা হয়। আবার কালো রং কে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে বিভিন্নভাবে কথাবার্তা বলা হয়। যার কারণে গায়ের রং কালো বাক্তিরা বাজারে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট গায়ের রং ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করছে।
যার ফলে দেখা যাচ্ছে কিছু টা গায়ের রং ফর্সা হচ্ছে কিন্তু সেটা স্থায়িত্ব না এবং কিছুদিন পরে ত্বকের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে।পরবর্তীতে ত্বক আরো কালো হয়ে যাচ্ছে। তাই সমস্যার সমাধানের জন্য ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বনের মাধ্যমে আপনি প্রাকৃতিকভাবে স্থায়ীভাবে ফর্সা হতে পারেন।

যার কোন সাইট ইফেক্ট নেই এবং ত্বকের কোন সমস্যা হয় না। এবং সৌন্দর্য ধরে থাকে আজীবন। নিচে প্রাকৃতিকভাবে ঘরোয়া উপায়ে ধবধবে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

লেবুর ব্যবহার

এক পিচ ভালো লেবু নিয়ে কেটে রস বের করে নিতে হবে। সেখান থেকে দুই চা চামচ লেবুর রস নিয়ে এক চা চামচ পানিতে মিশাতে হবে। এবার মিশ্রিত মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করতে হবে। লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে তোকে ব্যবহার করতে হবে। এবার মিশ্রণটি ব্যবহারের মিনিট দশেক অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে ব্যবহার করার আগে মিশ্রণটি ত্বকের জন্য ব্যবহার্য হবে কিনা তা যাচাই করার জন্য গলায় অথবা কানের পিছনে লাগিয়ে দেখুন।
যদি কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না দেখা দেয় তাহলে ব্যবহার করবেন। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি যা ত্বকের সব ধরনের দাগ পরিষ্কার করতে পারেন। যার ফলে ত্বক হয় স্বচ্ছ এবং ত্বকের শুষ্কতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক হয়ে উঠে আরও উজ্জ্বল ও লাবণ্যময়। লেবুর ব্লিচিং উপাদানককে ভেতর থেকে দাগ মুক্ত করে সেই সাথে রোদে পোড়া দাগ সহজে দূর করে।

টমেটো ও ওটমিল

টমেটো ও ওটমিল এই দুটো উপকরণ আপনার ত্বককে ফর্সা বানাতে অথবা পরিষ্কার করতে প্রচন্ড ভাবে সাহায্য করে।ওটমিল এর ব্যবহার আপনার মৃত কোষগুলোকে অপসারণ করে এবং টমেটোর ব্যবহার আপনার ত্বককে ফর্সা এবং আকর্ষণীয় বানাতে সাহায্য করে। এগুলো উপাদান প্রয়োগ করার জন্য প্রথমে ওঠমিল এবং টমেটো এই দুটিকে একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে।

এরপরে এই পেস্ট কে আপনার ত্বকের উপর ভালোভাবে লাগাতে হবে।এবং এইভাবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট আপনার ত্বকে রাখতে হবে। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারের ফলে ফর্সা হয়ে যাবেন। এবং ত্বকের লাবণ্যতা গভীর থেকে ফুটে তোলে।

হলুদের ব্যবহার

এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বেটে নিন। তার সাথে ২ চা চামচ লেবুর রস। মিশ্রণ দুটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর মিশ্রণটি মুখে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে। এবার সূর্যের তাপের কারণে ত্বকের যে স্থানগুলো কালচে হয়ে গেছে সেখানে ব্যবহার করুন। এবার এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে রাখার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

সপ্তাহে দুইবার এভাবে ব্যবহার করুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক ফর্সা হওয়া শুরু হয়ে যাবে। হলুদের থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি ইনফ্লোমেটরি উপাদান ত্বককে সব ধরনের জীবাণু থেকে দূরে রাখে। সে সঙ্গে ত্বককে দ্রুত ফর্সা করতে সাহায্য করে। এবং ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও হলুদ আমাদের ত্বকে বয়সের সাপ পড়তে বাধা দেই। ফলে ত্বক থাকে টনটনে। ত্বকে ব্যবহারের পাশাপাশি খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেতে পারলে সেটিও আপনার শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।

এলোভেরা

এলোভেরা খুব সহজে পাওয়া যায় এমন এক ধরনের ঔষধি গাছ। এলোভেরা জেল ত্বককে ফর্সা করার একটি অসাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতি কারণ ইহাতে এন্থ্রাক্যুনোন কম্পাউন্ড থাকে যা ত্বকের উপরিভাগে থাকা লাবণ্য তাকে ঢেকে রাখা আবরণ সরিয়ে ভিতর থেকে লুকিয়ে থাকা ফর্সা ত্বককে বাইরে বেরিয়ে আনতে সাহায্য করে।

এলোভেরা জেল লাগানো ছাড়াও আপনার লোশন বা ক্রিম লাগাতে পারেন। এলোভেরা পাতা অথবা অ্যালোভেরা জেল সমস্ত শরীল ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য এর ব্যবহার প্রতিদিন করা উচিত।

কমলালেবু

কমলা লেবুতে থাকা ভিটামিন সি যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের ত্বকে অনেক রকমের সমস্যা আছে যার প্রতিকার হিসেবে কমলা খুব ভালো কাজ করে। কমলালেবুর ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক ফর্সা এবং চমৎকার হয়ে উঠতে সাহায্য করে। কমলালেবুর রস হলুদ গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে নিন।

এবার এই পেস্ট আপনার ত্বকের উপর লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এবং সকালবেলা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালোভাবে উপকার পাওয়ার জন্য এই উপাদানগুলির পেস্ট আপনি প্রত্যেকদিন ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

দুধের ব্যবহার

এক টেবিল চামচ দুধ ও এক চা চামচ মধু নিন। এরপর মধু ও দুধ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন।এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এভাবে প্রতিদিন আপনি মিশ্রণটি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

এটি প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা দ্রুত আসে।যদি থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বকের রংকে ভিতর থেকে হালকা করে। সেই সাথে এটি বাইরে থেকে আদ্রতা এবংমসৃণ করে তোলে। প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে ত্বক আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠে।

শেষ কথা-কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রতিটি মানুষ চায় তার ত্বক ফর্সা হোক। যাদের ত্বক কালো তারা তো চাই আবার যাদের ত্বক ফর্সা তারা আরো ফর্সা হতে চায়। এজন্য বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত কসমেটিক্স ব্যবহার করে থাকে ত্বকে। ফলস্বরূপ প্রথম অবস্থায় খুব ভালো উপকার পেলেও আস্তে আস্তে তা অবনতির দিকে চলে যায়। এবং একটি পর্যায়ে আগে তুলনায় ত্বক আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। 
এজন্য আপনাদের জন্য আমার পরামর্শ কোন কেমিক্যাল ত্বকে ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরোয়া কিছু উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার ত্বককে ফর্সা করতে পারেন। উপরে এই আর্টিকেলে গায়ের রং ফর্সা করার অনেক পদ্ধতি তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত এই পদ্ধতি গুলো আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন। 

তাহলে ধীরে ধীরে একটা সময় আপনার ত্বক ভিতর থেকে ফর্সা হয়ে আসবে। এবং এই ফর্সা স্থায়ী হবে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই আর্টিকেল পড়ে নিতে পারেন। আশা করি আপনি আপনার ত্বকের জন্য ভালো কিছু সমাধান পেয়ে যাবেন। আমার এই আর্টিকেল পরে যদি আপনার ভালো লাগে। তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪