সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ - সিঙ্গাপুর কোন ভিসার খরচ কত
বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট ২০২৪ - সিঙ্গাপুর ভিসা চেক করার নিয়মআজকের আর্টিকেলে আপনাকে স্বাগতম।আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ এবং সিঙ্গাপুর কোন ভিসার খরচ কত এই সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য চিন্তা করছেন এবং খোঁজাখুঁজি করছেন সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সম্পর্কে।
সিঙ্গাপুর অর্থনৈতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী হওয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন সিঙ্গাপুরে কাজের উদ্দেশ্যে যায়। আপনিও সেই একই উদ্দেশ্যেই সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য চিন্তা করছেন। সিঙ্গাপুর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়া যায় এবং ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভিসার খরচ কম বেশি হয় এবং বেতনও কম বেশি হয়।
এজন্য আপনাকে জেনে থাকা ভালো সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সম্পর্কে। চলুন আজকের আর্টিকেলটি বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে আপনাদের সকল প্রশ্নের সমাধান করার চেষ্টা করি।
সিঙ্গাপুর বেতন কত
আপনি যখন সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ভাবছেন। তখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগাটা স্বাভাবিক সিঙ্গাপুর বেতন কত।সিঙ্গাপুরে মাসিক বেতন নির্ভর করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসার উপর। কোন ভিসায় মাসিক বেতন বেশি পাওয়া যায় আবার কোন কোন ভিসায় মাসিক বেতন তুলনামূলক কম পাওয়া যায়।সিঙ্গাপুরে একজন কর্মীর বেতন কমবেশি হওয়ার কারণ হল দক্ষতা।
কোনো কর্মী দক্ষতা অর্জন করে যদি সিঙ্গাপুরে যায়। তাহলে অদক্ষ শ্রমিকের তুলনায় একটু বেতন বেশি পাই এবং ধীরে ধীরে বেতন বৃদ্ধি পায়। সিঙ্গাপুরে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা প্রচুর। আপনি যদি সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য ভেবে থাকেন তাহলে আগে সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার থেকে দক্ষতা সম্পন্ন করে নিন। এতে করে আপনি যে কোম্পানিতে যাবেন।
সেই কোম্পানিতে আপনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং তুলনামূলক বেতন বেশি পাবেন। সিঙ্গাপুরে মাসিক বেতন আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। যারা নতুন অবস্থায় সিঙ্গাপুরে আসে তাদের বেতন কম হয়। এবং ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পায়। তবে সিঙ্গাপুরের নাগরিকের বেতন অনেক বেশি হয়।
তাদের মাসিক বেতন ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা বা তারও বেশি হয়। এছাড়াও একটি বিষয় সবসময় সবাই জানতে চাই,তা হলে সিঙ্গাপুরের এক টাকা বাংলাদেশের কত টাকা। বর্তমানে সিঙ্গাপুরের এক ডলার সমান বাংলাদেশি ৮১.২৪ টাকা মাত্র।
সিঙ্গাপুর কোন কোন ভিসা চালু আছে
বাংলাদেশ ছোট আয়তনের দেশ এবং জনসংখ্যা অনেক বেশি। যার কারণে প্রতিনিয়তই বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যার কারণে বর্তমানে সবাই বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য ঝুঁকে পড়েছে। তেমনি সিঙ্গাপুরে যাওয়ার জন্য অনেকেই জানতে চেয়েছেন সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে এই বিষয়ে।কারণ এই বিষয়ে নতুনদের তেমন ধারণা থাকে না।
তবে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা লাগে সেই বিষয়ে জানার আগে যেটি জানার দরকার সেটি হল সিঙ্গাপুরে কোন কোন ভিসা চালু আছে। কারন সিঙ্গাপুর বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে এবং ক্যাটাগরির উপর খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়। চলুন নিচে আলোচনা করা যাক সিঙ্গাপুর কোন কোন ভিসা চালু আছে-
সিঙ্গাপুর কোন ভিসার খরচ কত
সিঙ্গাপুর ছোট আয়তনের দেশ হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তারা বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হওয়ার কারণে প্রতিবছর সিঙ্গাপুর বিভিন্ন দেশ থেকে লোক যায়। সিঙ্গাপুর বিভিন্ন ধরনের ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে। এবং ভিসা ক্যাটাগরির উপর ভিসা খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
তাই নির্দিষ্ট ভাবে বলা যাবে না সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা খরচ হয়। আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য আবেদন করবেন। কারণ আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনাকে ভালো পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। আপনারা জানতে চেয়েছেন সিঙ্গাপুর কোন ভিসার খরচ কত এ বিষয়ে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সিঙ্গাপুরে কোন ভিসার খরচ কত হয়-
- কাজের ভিসা ৫ লক্ষ টাকা।
- টুরিস্ট ভিসা ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
- স্টুডেন্ট ভিসা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
- বিজনেস ভিসা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
উপরে যেগুলো ভিসা খরচের হিসেব দেওয়া হল এই খরচ গুলি সময়ের সাথে পরিবর্তন হতে পারে। তবে আপনি যখন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপডেট তথ্য জেনে নিবেন। আরেকটি কথা এই হিসেবগুলো শুধু ভিসা খরচ হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আলাদা যেগুলো খরচ হবে সেগুলো খরচের হিসাব এখানে দেওয়া নেই। এখানে শুধু ভিসা খরচের হিসাব দেওয়া হল ক্যাটাগরির উপর।
সিঙ্গাপুর যেতে কি কি লাগে
আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসায় যেতে পারবেন। ভিসা ক্যাটাগরির উপর কিছু কিছু ডকুমেন্টস আলাদা আলাদা প্রয়োজন হয়। সিঙ্গাপুরে কয়েক ক্যাটাগরির ভিসা রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো টুরিস্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, স্টুডেন্ট ভিসা, মেডিকেল ভিসা, বিজনেস ভিসা ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
আপনি যদি একজন অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি অথবা ভালো কোন এজেন্সির কাছে যান তাহলে জানতে পারবেন সিঙ্গাপুর যেতে কোন ভিসায় কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান তবে কিছু কাগজপত্র রয়েছে যেগুলো সব ধরনের ভিসার জন্য আবশ্যক।সিঙ্গাপুর যেতে যেসব কাগজপত্র লাগে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
- সর্বনিম্ন ৬ মাস মেয়াদী এবং একটি খালি পাতা সহ পাসপোর্ট
- ভিসা আবেদন ফরম
- ভিসা আবেদন ফি
- সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ফটো
- একাডেমিক সার্টিফিকেট
- জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- আর্থিক সামর্থের প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট, জমির দলিল ইত্যাদি)
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য
- কাজের উদ্দেশ্যে গেলে চুক্তিপত্র
- কাজের অনুমতি পত্র বা ইনভাইটেশন লেটার
- আবাসনের প্রমাণ
- ভ্রমণ বীমা
সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লোক গিয়ে সিঙ্গাপুরে বসবাস করে। সিঙ্গাপুর অর্থনৈতিক দিক থেকে ধনী এবং শক্তিশালী একটি দেশ। অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ায় এই দেশে বিভিন্ন রকমের কাজ থাকে। আপনি যদি সিঙ্গাপুর কাজের উদ্দেশ্যে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জেনে নিতে হবে সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ সম্পর্কে।
বর্তমানে সিঙ্গাপুরে কিছু নির্দিষ্ট সেক্টরে বাংলাদেশীদের জন্য চাকরি রয়েছে। সিঙ্গাপুর দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতির কারণে এই দেশে নির্মাণ শিল্পে দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকের সব সময় চাহিদা রয়েছে। ইলেক্ট্রনিক্স, পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, শিল্পে বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এছাড়া সিঙ্গাপুর বিশ্বের অন্যতম প্রধান শিপিং কেন্দ্র,।
তাই শিপইয়াডের কাজে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা অনেক বেশি। সিঙ্গাপুর উন্নত প্রযুক্তি সম্পূর্ণ দেশ।অর্থনীতিতে ইলেকট্রিক্যাল টেকনিশিয়ান ও ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও সিঙ্গাপুরে দক্ষ আই টি বিশেষজ্ঞদের প্রচুর চাহিদা। আরো অনেক রকমের কাজের চাহিদা রয়েছে। নিম্নতা চার্ট আকারে উল্লেখ করা হলো-
সিঙ্গাপুরে সর্বনিম্ন বেতন কত
সিঙ্গাপুর গমনে ইচ্ছুক কমবেশি সকলেরই জানার ইচ্ছা থাকে সিঙ্গাপুরের সর্বনিম্ন বেতন কত এই বিষয়ে। কিন্তু সিঙ্গাপুর সরকার কর্তৃক ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা নেই। যার কারণে সঠিক ধারণা পাওয়া মুশকিল। তবে সিঙ্গাপুরে দক্ষ এবং অদক্ষ কর্মীদের বেতনের পরিমাণ অনেক কম বেশি হয়ে থাকে।
একজন দক্ষ সিঙ্গাপুর প্রবাসীর দক্ষতা অনুযায়ী মাসিক গড় বেতন প্রায় ৮০ হাজার এবং অদক্ষ কর্মীদের বেতন ৫০ হাজার টাকা। তবে কোম্পানির উপর নির্ভর করে দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকের বেতন আরো কম বেশি হতে পারে। আপনি যদি সিঙ্গাপুর গিয়ে ইনকাম করতে চান।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষতা অর্জন করে দক্ষ শ্রমিক হিসাবে সিঙ্গাপুরে যেতে হবে। তাহলে একজন অদক্ষ শ্রমিকের তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন একই সময়ে।
সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত
আপনি জানেন সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা নামে কোন ভিসা নেই। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে ড্রাইভিং পেশার চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগে সিঙ্গাপুরে ড্রাইভিং পেশার অনেক চাহিদা ছিল। বর্তমানে এই পেশার তেমন কোন চাহিদা নেই। আপনি শিওর থাকবেন কোন ব্যক্তি বা এজেন্সি যদি আপনাকে সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা দিতে চায় তাহলে বুঝে নিবেন সে একজন প্রতারক।
তবে বিভিন্ন কোম্পানিতে ড্রাইভিং জব করা যায়। আবার অনেক কোম্পানিতে পাশাপাশি কনস্ট্রাকশন জবও করতে হয়। সিঙ্গাপুরে ড্রাইভিং পেশার ধরা-বাঁধা বা নির্দিষ্ট কোনো বেতন নেই। তবে একটা আনুমানিক হিসাব রয়েছে। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে ড্রাইভিং পেশায় মাসিক $১,০০০ থেকে $১,৮০০ ডলার (SGD) বেতন পাওয়া যাচ্ছে। যা বাংলাদেশী টাকায় দাঁড়ায় ৮১,০০০ টাকা থেকে ১,৫০,০০০ টাকা।
সিঙ্গাপুরে শ্রমিকের বেতন কত
সিঙ্গাপুর একটি উন্নত দেশ হওয়া সত্ত্বেও সিঙ্গাপুরে শ্রমিকদের কাজের বেতন তুলনামূলক অনেক কম। এবং ভিসা ক্যাটাগরির উপর আরো কম বেশি হয়ে থাকে। সিঙ্গাপুরে যারা বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন কাজ করে তাদের আনুমানিক দৈনিক বেতন সিঙ্গাপুরের ২০ থেকে ২৫ ডলারের আশেপাশে হয়ে থাকে। এই টাকা মাসিক বেতন হিসেবে ৬০০ থেকে ৮০০ ডলারের আশেপাশে হয়ে থাকে।
তবে দক্ষতা, যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন কমবেশি হতে পারে। সিঙ্গাপুরে অদক্ষ শ্রমিকের তুলনায় দক্ষ শ্রমিকের যেমন চাহিদা এবং তাদের বেতন অনেক বেশি। একই সময়ে একজন অদক্ষ শ্রমিক যে পরিমাণে টাকা ইনকাম করবে তার দ্বিগুণ পরিমাণে টাকা একজন দক্ষ শ্রমিক কাজ করে ইনকাম করতে পারবে।
সিঙ্গাপুরে ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কত
আপনি যখন কোন দেশে যেতে চাইবেন তখন সেই দেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেবেন এবং কি কাজে যেতে চাইবেন সেই কাজের বেতন এবং সে কাজ সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিবেন। বিভিন্ন ধরনের ওয়েল্ডিং এর কাজ রয়েছে সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুরে ওয়েল্ডিং কাজের ধরন অনুযায়ী বেতন আলাদা হয়ে থাকে।
এর মধ্যে কিছু কিছু ওয়েল্ডিং কাজের বেতন বেশি আবার কিছু কিছু ওয়েল্ডিং কাজের বেতন কম। সিঙ্গাপুরে একজন দক্ষ ওয়েল্ডিং শ্রমিকের মাসিক বেতন বেসিক হয়ে থাকে সিঙ্গাপুরের ৭০০ থেকে ৮০০ ডলার। এবং ওভারটাইম কাজ করলে সেই বেতন দাঁড়ায় ১৪০০ থেকে ১৫০০ ডলারে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো।
তবে সিঙ্গাপুরে সাধারণত বেসিকের তুলনায় ডবল বেতন তোলা যায় যদি ওভারটাইম বেশি হয়। তবে সিঙ্গাপুরে ওয়েল্ডিং কাজের বেতন ভালো এবং এই ভিসার চাহিদাও ভালো। আপনি চাইলে ওয়েল্ডিং কাজের জন্য সিঙ্গাপুর যেতে পারেন।
সিঙ্গাপুর স্কিল ট্রেনিং খরচ কত
স্কিল ট্রেনিং বিষয়টি সিঙ্গাপুর যাওয়ার ক্ষেত্রে কমন একটি বিষয়। স্কিল টেনিং আপনি চাইলে সিঙ্গাপুরে গিয়ে অথবা বাংলাদেশ থেকে করতে পারবেন। তবে আপনি যদি সিঙ্গাপুরে গিয়ে স্কিল ট্রেনিং করেন তাহলে খরচ অনেক কম পড়বে। কিন্তু একই ট্রেনিং করতে আমাদের দেশের খরচ অনেক বেশি পড়বে। বেশি খরচ পড়লেও বাংলাদেশ থেকে স্কিল টেনিং নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়া সবচেয়ে ভালো।
কারণ সিঙ্গাপুর গিয়ে আপনি যদি স্কিল ট্রেনিং করতে চান তাহলে আপনাকে নিজ খরচে করতে হবে এবং স্কিল সম্পূর্ণ করে কোম্পানিতে কাজ করতে পারবেন।কোম্পানি আপনাকে স্কিল শিখাবে না। এছাড়াও প্রবাসে গিয়ে আপনাকে নিজে নিজে প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করে স্কিল শিখতে হবে। কারণ কোম্পানি সাধারণত অদক্ষ কর্মী নেয় কম বেতন দেওয়ার জন্য।
এরা আপনাকে স্কিল শেখাবে না।তাই আপনাকে সাপ্তাহিক ছুটির ফাঁকে ফাঁকে স্কিল শিখতে হবে। প্রথমবার স্কিল পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে পারলে প্রায় ১১০০ ডলার খরচ হয়।আপনি যদি প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে না পারেন তাহলে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে এক্ষেত্রে পরীক্ষার ফি হবে ১৭০০ ডলার।
সিঙ্গাপুরে অদক্ষ শ্রমিকের বেতন কম হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং করে দক্ষতার পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পরে সিঙ্গাপুরে যায়। এতে করে সেই লোক ১৮ বছর পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে থাকতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত সময় লাগে এই প্রশ্নটা প্রায় সকল প্রবাসী ভাইদের।বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর বিমানে যেতে প্রায় আপনার ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট সময় থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগবে। আপনি বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য অনেক ধরনের ফ্লাইট পাবেন।আপনার সিঙ্গাপুর যাওয়ার ফ্লাইট যদি দ্রুততম হয়।
তাহলে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট সময় লাগবে। আর যদি একটু কম গতিতে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে বেশি সময় লাগবে। তবে একটি কথা জেনে রাখা ভালো আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সিঙ্গাপুরের টিকেট না পান সেক্ষেত্রে আপনার সময় আরো বৃদ্ধি পেতে পারে। যা প্রায় ৭২ ঘন্টার একটি জার্নি হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া কত
আপনি যদি বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরিতে সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাহলে আপনার জানার প্রয়োজন হবে। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে বিমান ভাড়া কত লাগে। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরের সকল ফ্লাইটে টিকিটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।সারা বিশ্বে বর্তমান ডলারের দাম বাড়ার কারণে সব ধরনের বিমানের টিকেট ভাড়া বেড়ে গিয়েছে।
এখন আপনারা যারা বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরিতে সিঙ্গাপুর যেতে চাচ্ছেন। তাদের অনেকেরই অজানা রয়েছে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর যেতে কত টাকা বিমান ভাড়া লাগে। আপনাদের এই প্রশ্নের সমাধান দিতেই আজকের আর্টিকেল লেখা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুর বিমান ভাড়া কত এই বিষয়ে নিচে ভাড়ার তালিকা দেওয়া হলো-
শেষকথা-সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪
আপনি যদি কাজের উদ্দেশ্যে অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্যে সিঙ্গাপুর যেতে চান। তাহলে সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য যেগুলো প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় সেগুলো বিষয়ে আজকেরে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আলোচনার মূল বিষয় ছিল সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি ২০২৪ ।
আপনি যদি মূলত কাজের উদ্দেশ্যেই সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। কারণ এখানে আলোচনা করা হয়েছে সিঙ্গাপুরে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সম্পর্কে। আশা করি আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ে নিলে আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url