অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় , জেনে নিন ২ মিনিটে

 রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায় - (২ মিনিটে ঘুমানোর উপায়) আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। ঘুম যেমন শরীরের জন্য উপকারী তেমনি অতিরিক্ত ঘুম শরীরের জন্য রোগের বহনকারী। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে শরীর রোগের বাসা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ঘুমের কারণে মানুষ তার নির্দিষ্ট কাজ সঠিক সময় করতে পারে না। তাই এই সমস্যার সমাধানের জন্য আজকের এই আর্টিকেল অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় লিখা হয়েছে।
অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়
আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যায় থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেল অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় আপনার জন্য অনেক উপকারে আসবে। আপনি যদি আজকের এই অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিতে পারেন। তাহলে আপনি অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন দেরি না করে অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

অতিরিক্ত ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায়ঃ

প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম কমাতে হলে কার্যকরী উপায় হল চোখে পানি দিতে হবে যখনই ঘুম আসবে তখনই চোখে পানি দিতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে দাঁত ব্রাশ করে নিতে পারেন। তাতেও কিছুটা প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম চলে যায়।এছাড়াও যদি অতিরিক্ত ঘুমে চাপ আসে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু বা প্রিয়জনদের সাথে কথা বলতে পারেন এতে করে ঘুমের ভাব চলে যাবে এবং মন ফ্রেশ হয়ে আসবে পুনরায় কাজে মনোযোগ পাবেন।

অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

আপনি যদি ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে কিছু নিয়ম আপনাকে পালন করতে হবে এবং এটি দৈনিক পালন করতে পারেন তাহলে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ঘুমের কারণে অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজগুলো করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা।
অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়
এজন্য ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করা অতি জরুরী। ঘুমকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করার চেষ্টা করুন। অসময়ে ঘুম তাড়ানোর ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি খুবই উপকারী। আপনি যদি দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করেন সেক্ষেত্রে আপনার ঘুম চলে আসতে পারে।তাই যখন ঘুম ঘুম ভাব হবে তখন কাজ বন্ধ করে আপনি একটু হাঁটাহাঁটি করতে পারেন এতে করে আপনার ঘুম ঘুম ভাবটা কেটে যাবে।

সকালে ঘুম দূর করার উপায়ঃ

বেশিরভাগ লোকই সকালের ঘুমের কারণে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারে না। এ কারণে দেখা যায় যে তার গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য সে সময় বের করতে পারে না। কারণ খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলে কাজ করার জন্য অনেক বেশি সময় পাওয়া যায়।সকালে ঘুম দূর করার কিছু উপায় আপনাকে মেনে চলতে হবে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লান্তি কাটতে চাই না। রাতে ভাল ঘুম হওয়ার পরেও এটি হতে পারে। বিছানা ছেড়ে ওঠার মতন শক্তি ও যেন চলে যায়। এমন অবস্থায় আপনি ক্লান্তি দূর করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিতে পারেন নিজেকে হাইড করার জন্য। আপনি যদি নিজেকে আরও বেশি হাইডেড করতে চান। 
তাহলে পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। তাতে আপনার ঘুমের ক্লান্তি অনেকটা কমে যাবে। এছাড়াও আপনি ঘুম থেকে উঠে একটু হাটাহাটি করতে পারেন হাটাহাটি করলে আপনার ঘুমের ভাবটি কেটে যাবে।

দুপুরের ঘুম দূর করার উপায়ঃ

বেশিরভাগ লোকজনই দুপুরে খাওয়া শেষ করে একটু ঘুমাতে চাই যদিও এটি শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু অনেকেই চাকরি করে যারা দুপুরে খাওয়া শেষে পুনরায় তাদেরকে কাজকর্মে মনোযোগী হতে হয়। কিন্তু সেই সময়টায় ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে এতে করে কাজে অমনোযোগী হয়ে যায়। তাই কমানোর জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খেয়ে নিয়ে গরম চা অথবা কফি খেয়ে নিন।
এতে করে ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাবে এবং কাজে মনোযোগী হওয়া যাবে।তবে একটি কথা অবশ্যই মেনে চলবেন সেটি হল দুপুরে খাওয়ার পর অন্তত ৫ মিনিট হাটাহাটি করুন। যাতে করে আপনার খাদ্যগুলো সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে।

ঘুম ঘুম ভাব দূর করার কিছু সহজ উপায়ঃ

তাৎক্ষণিকভাবে ঘুম দূর করার জন্য অনেকেই কপি পান করে থাকেন। তবে কপি ছাড়াও এ থেকে মুক্তি পাবার আরো অনেক উপায় আছে।আসুন আমরা জেনে নিই, ঘুম দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ

গান শোনাঃ

মাইন্ডল্যাব ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান এবং নিউরোসাকোলজিস্ট ডা. ডেভিড লিউইস পরিচালিত একটি গবেষণামতে জানা গেছে মনোযোগ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে গান শোনা। এছাড়াও ক্লান্তি দূর করতেও গান শুনতে পারেন এবং অতিরিক্ত চিন্তায় থাকলেও গান শুনতে পারেন। এতে মাইন্ড ফ্রেশ হয়ে যায়।

সূর্যের আলোয় হাটুনঃ

সূর্যের আলো মানুষের শরীরে ভিটামিন ডি এর উপাদান পূরণ করে থাকে। ঘুম ঘুম ভাব বেশি হলে সূর্যের আলোতে হাটাহাটি করলে ঘুম ঘুম ভাব দূর হয়ে যায়। এবং শরীরে ভিটামিন ডি এর উপাদান পূর্ণ হয়।

সিঁড়ি দিয়ে হাঁটুনঃ

অফিসে যখনই আপনি ঘুম ঘুম ভাব অনুভব করবেন তখনই একটু হাটাহাটি করবেন। তবে সিডি দিয়ে যদি হাঁটাহাঁটি করেন এতে অতি তাড়াতাড়ি ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ সিঁড়িতে হাঁটাহাঁটি করলে শক্তির প্রয়োজন হয় বেশি। যার কারণে ঘুম কেটে যায় অতি তাড়াতাড়ি।

ফিজিওলজি এন্ড বিহেভিয়ার নামক জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানা যায় যে, সিঁড়ি দিয়ে ১০ মিনিট ওঠা নামা করলে ৫০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন গ্রহণ করার মতই কর্মশক্তি পাওয়া যায়।

লাল রঙের দিকে তাকানঃ

আপনি জেনে অবাক হবেন যে লাল রঙের দিকে তাকালে ফোকাস ও সতর্কতা উদ্দীপ্ত হয়। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের করা এক গবেষণায় জানা যায় যে, স্মৃতি পুনরুদ্ধার এবং প্রুফরিডিং এর মত বিস্তারিত কাজের পারফরমেন্স কে উদ্দীপ্ত করে লাল রং।

ঠান্ডা পানির ঝাপটাঃ

আপনার চোখমুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন। আপনার ক্লান্ত চোখকে জাগিয়ে তোলার সহজ উপায় হচ্ছে এটি। এছাড়াও এটি ত্বকের ছিদ্রগুলোকেও বন্ধ হতে সাহায্য করে। আপনি অতিরিক্ত ঘুম ঘুম অবস্থায় থাকলে কিছুক্ষণ আপনি চোখে পানির ঝাপটা দিতে থাকবেন দেখবেন আপনার চোখের ঘুম চলে গেছে।

নিয়মিত কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুনঃ

একজন সফল মানুষের সকাল শুরু হওয়ায় খুব সকাল সকাল যাতে সে দিনের পুরো সময়টা তার কাজের জন্য ব্যয় করতে পারে। আর এজন্যই সফল ব্যক্তিরা সফলতা পেয়ে থাকে। নিয়মিত কাজ আপনাকে প্রচুর পরিশ্রমী করে তোলে এবং অলসতা থেকে দূর করে। অলস ব্যক্তিরা কোনদিন সফল হতে পারেনা।এজন্য নিজেকে পরিশ্রমী করে তুলুন।
আপনি যদি কোন কাজ ছাড়া নিজেকে ফ্রি রাখেন তাহলে আপনার শরীর ও ফ্রি থাকার জন্য আরও অলস হয়ে পড়বে। দেখা যাবে যে আপনার বেশিভাগ সময় ঘুমের মধ্যে কাটিয়ে দিতে হবে। আর এই অলসতা শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক শরীরকে রোগের বাসা বানায় দেয়। আর এগুলো সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য নিজেকে নিয়মিত কাজে ব্যস্ত রাখুন।

রুটিন করে ব্যায়াম করুনঃ 

একজন মানুষ সুস্থ থাকার জন্য রুটিন করে নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই জরুরী। নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট এবং রোগের বাসা বাঁধতে পারে না। একজন মানুষের তার শরীরের সকল যন্ত্রাংশের সুস্থতা ফিরিয়ে আনার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার।আপনি অতিরিক্ত যে সময় ঘুমের মধ্যে কাটান আপনি।
চাইলে সেই সময়টা নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারেন। এতে করে আপনার শরীর অসুস্থ থাকবে এবং অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।মানুষ তার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য সব সময় ডাক্তারের সরানাপন্ন হয়ে থাকে। কিন্তু মানুষ যদি একটু চোখ কান খোলা রেখে নিজেকে রোগ মুক্ত রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করে।

তাহলে হয়তো মানুষকে ডাক্তারের শরণাপন্ন এত হতে হতো না। সব সময় ডাক্তারের শরণাপন্ন না হয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে নিজেকে ফিট রাখুন। এবং দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার জন্য নিজেকে সুস্থ রাখুন। মনে রাখুন সুস্থ থাকা মনের শান্তির খোরাক যা অর্থ সম্পদ দিয়ে পাওয়া যায় না।

খেলাধুলা করাঃ

নিয়মিত খেলাধুলার অভ্যাস করুন এই অভ্যাস আপনার অলসতাকে দূর করে দিবে। আপনি দুপুরে অতিরিক্ত যে ঘুম পারবেন তা বন্ধ করুন। এবং খেলাধুলায় মনোযোগী হন ওই সময়টা আপনি খেলাধুলা করলে যেমন শরীরের জন্য উপকার তেমনি অতিরিক্ত ঘুম থেকে রক্ষা করে। একজন ব্যক্তি নিয়মিত খেলাধুলা করলে তার শরীরের ভেতর প্রতিটা অংশের ভেতর রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
এবং হার্ড ফাংশন খুব ভালো থাকে। খেলাধুলা করার ফলে যে দৌড়াদৌড়ি করা হয় এতে শরীর অক্সিজেন গ্রহণ করতে সুবিধা পায়। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী ।একজন মানুষকে সুস্থ থাকার জন্য অন্তত ৩০ মিনিট প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করা দরকার। আপনি যদি নিয়মিত খেলাধুলা করেন তাহলে আপনার জন্য আর অতিরিক্ত হাটাহাটির কোন প্রয়োজন পড়বে না।

আপনি একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন নিয়মিত খেলাধুলা করা মানুষগুলো বসে থাকা মানুষগুলো থেকে একটু সুস্থ বেশি থাকে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকে ।এজন্য তারা সুস্থ থাকে। তাই নিজেকে শরীরকে অতিরিক্ত ঘুমিয়ে রোগের বাসা তৈরি না করে একটু খেলাধুলা করুন সুস্থ থাকুন।

সকালে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুনঃ

বর্তমান সময়ের একটি সমস্যা হল মানুষ হাঁটাহাঁটি করতে চায় না। সকালে হাটাহাটি করার অভ্যাস মানুষকে সুস্থ রাখতে পারে। একদিকে যেমন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠলে ঘুমের পরিমাণ ঠিক থাকে অন্যদিকে কাজকর্মের জন্য সময় অনেক বেশি পাওয়া যায়। একজন লোক সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন হাটাহাটি করলে তার শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায়।

শরীরের ফ্যাট কমে যায় ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এবং তার কাজকর্মের জন্য দীর্ঘ সময় পাই এবং মনোযোগ সহকারে কাজকর্ম করতে পারে। সকালে ওঠার ফলে সকালের যে সূর্যের তাপমাত্রা শরীরের উপরে পড়ে এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এবং শরীরকে সুস্থ এবং মনোবন্ত করে তুলে।

শেষকথা-অতিরিক্ত ঘুম থেকে মুক্তির উপায়

ঘুম মানুষের শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি ক্ষতিকর। প্রতিদিন আপনি যদি ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান তাহলে এটা আপনার শরীরের জন্য উপকারী। আর যদি ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমান তাহলে এটি আপনার শরীরের জন্য খুব ক্ষতিকর। এজন্য অতিরিক্ত ঘুম শরীরের রোগের বাসা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 
এছাড়াও অতিরিক্ত ঘুমের কারণে অনেকে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজকর্ম শেষ করতে পারে না যার কারণে আর্থিকভাবেও অনেকে সমস্যায় পড়ে। এজন্য বলা হয় অতিরিক্ত ঘুম অলস ব্যাক্তির নিত্য সঙ্গী। আপনি যদি অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যার সমাধান করতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়ে নিন। আশা করি আপনি আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন,ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪