আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪,বিস্তারিত জেনে নিন।

রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম ২০২৪ - রোমানিয়া ভিসার জন্য আবেদনপ্রিয় পাঠক, আজকে আমি আলোচনা করব আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে। আপনি যদি আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। আমেরিকা এমন একটি দেশ যে দেশ পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এবং শক্তিশালী দেশ। শুধু তাই নয় আমেরিকা বিশ্বের অধিকাংশ অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক শক্তির উৎস। 
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪
আমরা প্রায় সকলেই আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। কেউ আমেরিকাতে কাজ করতে যায়, কেউ ভমন করতে যায় আবার কেউ পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে যায় এবং কেউ চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য যায়। আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে যেতে চাই তাদের সকলের মনে একটাই প্রশ্ন আমেরিকা ভিসা খরচ কত। 

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ভিসা খরচ কত এটি নির্ভর করে মূলত ভিসার ক্যাটাগরির উপর। এছাড়াও আপনি যদি কোন পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে স্বপ্নের দেশ আমেরিকাতে যেতে চান তাহলে অল্প খরচে যেতে পারবেন। এছাড়া দালাল এবং বাংলাদেশী এজেন্সির মাধ্যমে গেলে খরচ অনেক বেশি পড়বে।তো চলুন নিচে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪

স্বপ্নের দেশ আমেরিকা যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কম বেশি সকলেই। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত অর্থনৈতিক ও শক্তিশালী দিক থেকে আমেরিকা এগিয়ে। পৃথিবীর সকল দেশে যেতেই ভিসার প্রয়োজন হয়। ঠিক তেমনি আমেরিকা যেতে হলে ভিসা করার মাধ্যমেই আমাদেরকে যেতে হবে। আমেরিকা বিভিন্ন ধরনের ভিসার মাধ্যমে যাওয়া যায়। 
আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪
আজকে আমি এই আর্টিকেলে আলোচনা করবো আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে। আপনারা যারা আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে জানার জন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাননি। আমি মনে করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আপনি আর্টিকেলটি বিস্তারিত পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবেন।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে।বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়। ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনার নূন্যতম ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা আবেদন ফি খরচ হবে। 
এবং আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে ন্যূনতম বিমান ভাড়া ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। তবে এখানে একজন শিক্ষার্থীদের কলারশিপ আবেদন সহ বেশ কিছু হিসাব বিবেচনা করে সকল খরচ আনুমানিক হিসেবে ৫থেকে ৬লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর অন্যান্য ভিসায় আমেরিকাতে পৌঁছাতে ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা খরচ হয়। 

আপনি যদি ভালভাবে চেষ্টা করে থাকেন এবং প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র পরিপূর্ণভাবে জমা দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় সর্বোচ্চ খরচ হতে পারে ৬থেকে ৮ লক্ষ টাকা।

আমেরিকা যাওয়ার খরচ এবং বিমান ভাড়া

আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান, তাহলে আপনার সর্বপ্রথম যেটি প্রশ্ন সেটি হল আমেরিকা যেতে হলে কত টাকা খরচ করতে হবে। আমেরিকা যাওয়ার খরচ সম্পর্কে আজকে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। মূলত আমেরিকা যাওয়ার খরচ নির্ভর করে আপনি কোন ভিসায় যাচ্ছেন তার ওপর। 
আমেরিকায় যেতে হলে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসায়, টুরিস্ট ভিসায়, বা ওয়ার্ক ভিসায় আলাদা আলাদা খরচ হয়। আপনি যদি আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চান তাহলে আগে ১৪০০০ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে।আবার যদি স্টুরিস্ট ভিসায় আবেদন করেন তাহলে ১৩৯৯৯ টাকা লাগবে। 

এবং কাজের ভিসায় আবেদন করে থাকেন তাহলে ১৭০০০ হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার বিমান ভাড়া-

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা

  বিমান ভাড়া 

বাংলাদেশ - ওয়াশিংটন

১৬০০ - ১৮০০ ডলার

বাংলাদেশ - সিয়াটল

২১০০ - ২২৫০ ডলার

বাংলাদেশ - ডলাস

১৮০০ - ১৮৫০ ডলার

বাংলাদেশ - নিউইয়র্ক

১৪০০ - ১৬০০ ডলার

বাংলাদেশ - শিকাগো

১৪০০ - ১৬৫০ ডলার

বাংলাদেশ - বোস্টন

১৫০০ - ২০০০ ডলার

বাংলাদেশ - ফ্রান্সিসকো

১৮০০ - ২০০০ ডলার

বাংলাদেশ -  হিউস্টন

১৭০০ - ১৯০০ ডলার

বাংলাদেশ - লস অ্যাঞ্জেলেস

১৬০০ - ১৯০০ ডলার

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রসেসিং নিয়ে অনেক ঝামেলা মনে হয়। কিভাবে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন করতে হয় তা নিয়ে আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আমেরিকা ভিসা আবেদনের জন্য আপনাকে কিছু ধাপ বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আপনি বাংলাদেশে অবস্থিত যে কোন এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন বা অনলাইনে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। 
তবে আপনি যে পদ্ধতি ব্যবহার করেন না কেন আপনাকে সঠিক এবং নির্ভুলভাবে আবেদন করতে পারলে সবচেয়ে দ্রুত সময়ে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়। আপনি যদি অনলাইনে আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে যে কোন একটি ব্রাউজার থেকে এই https://travel.state.gov/content/travel.html ওয়েবসাইটে যেতে হবে। 

এবার ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর আপনি ভিসা আবেদন করার অপশনে গিয়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং তথ্য দিয়ে খুব সহজে আমেরিকা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যদি অনলাইনে আবেদন করাটা খুব কঠিন মনে হয় তাহলে আপনি খুব সহজে এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে নিতে পারবে।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। যেগুলো ছাড়া আপনি আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে পারবেন না। অর্থাৎ স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনি যোগ্য না হলে কখনোই কোন এজেন্সি বা দালাল আপনাকে আমেরিকা ভিসা তৈরি করে দিতে পারবে না। এজন্য আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্টস বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়।নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো-
  • স্টুডেন্ট ভিসার অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
  • একটি বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস বা তার বেশি
  • ভোটার আইডি কার্ড
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
  • আমেরিকান কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির লেটার
  • শিক্ষার্থীর বয়স ১৪ থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে হতে হবে
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • টিউশন থাকা-খাওয়া এবং অন্যান্য খরচ বহন করার সামর্থ্যের প্রমাণ (স্পন্সরশিপ চিঠি,স্কলারশিপ)
  • ইংরেজি ভালো দক্ষতার সার্টিফিকেট( IELTS,TOEFL,GRE)
  • শিক্ষা শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা ও কর্মজীবনের লক্ষ্য
  • মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • কোভিড 19 ভ্যাকসিনের নথি

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ব্যাংক স্টেটমেন্ট

আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস।কারণ আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণ করার জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক তেমনিভাবে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাংক স্টেটমেন্ট দরকার। 

শুধু তাই নয় আমেরিকায় যাওয়ার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করার সময় বিগত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হয়। তাছাড়া আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে না এবং আমেরিকা ভিসা পাবেন না।তাই আমেরিকা যাওয়ার জন্য আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনাকে আর্থিক স্বচ্ছলতা প্রমাণের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট রাখতে হবে।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ইন্টারভিউ

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা ইন্টারভিউ কিভাবে দিতে হয় তা জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি বিস্তারিত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিতে হবে। আপনি যদি আমেরিকাতে যাওয়ার জন্য আবেদন করে থাকেন এবং আপনার সকল কাগজপত্র ঠিক থাকে। তাহলে আপনি যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আবেদন করবেন সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ আপনাকে ইমেইলে মেসেজ পাঠাবে। 
এবং ইন্টারভিউ এর জন্য আপনাকে একটি নির্ধারিত ডেট জানিয়ে দেওয়া হবে। এবং সেই ডেটে আপনাকে অনলাইনের মাধ্যমে ইন্টারভিউ দিতে হবে।ইন্টারভিউ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে এবং ইংরেজি ভাষায় ইন্টারভিউ দিতে হবে। 

আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনি নিজেকে কতটা প্রস্তুত করেছেন এসব বিষয় খেয়াল করবে।সবদিক থেকে যদি আপনাকে তাদের পছন্দ হয়। তাহলে আপনি আমেরিকা যাওয়ার জন্য ভিসা পাবেন।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কতদিন লাগে

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে তা নির্ধারিত করে বলা যায় না। অনেকগুলো প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা তৈরি হয়। তবে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার তৈরি করতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে। এক্ষেত্রে কারো এক মাসের মধ্যে হয়ে যায় আবার কারো দুই মাসের কম সময়ে হয়ে যায়।আমেরিকা ভিসা পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার।

তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অতি তাড়াতাড়ি ভিসা পাওয়া যায়।এক্ষেত্রে এক থেকে দুই মাসের মধ্যে ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে মনে রাখবেন আমেরিকা ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকা ভিসা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে। 

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি লাগে

প্রতিটি দেশে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য কিছু ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। যেগুলো ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায় না। তেমনি আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্টস বা কাগজ পত্র প্রয়োজন। নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
  • স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন ফরম
  • IELTS স্কোর সার্টিফিকেট
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট
  • বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • অফার লেটার
  • ভোটার আইডি কার্ড বা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফটোকপি
  • চারিত্রিক/ নাগরিক সনদপত্র
  • করোনা ভ্যাকসিনের টিকা কার্ড
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • ঠিকানার প্রমাণস্বরূপ গ্যাস/ পানি/ বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি

আমেরিকা ভিসা পেতে কত ব্যাংক ব্যালেন্স লাগে

আমেরিকা ভিসা পেতে ব্যাংক ব্যালেন্স কত লাগে।এটি নির্ভর করে বিভিন্ন বিষয়ের উপর।বিভিন্ন বিষয়কে একত্রিত করে এই ফরমালিটিস পূরণ করা হয়। নিচে আমেরিকা ভিসা পেতে কত ব্যাংক ব্যালেন্স লাগে তার বিভিন্ন ধরণ আলোচনা করা হলো-

ভিসার ধরন

  • B1/B2ভিসা( পর্যটন/ ব্যবসা): এ ধরনের ভিসার জন্য আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স যথেষ্ট হতে হবে যাতে আপনার ভ্রমণের সময় সমস্ত খরচ খুব সহজেই বহন করতে পারেন।
  • F1ভিসা( ছাত্র):এই ভিসার জন্য আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স যথেষ্ট পরিমাণে হতে হবে।যাতে আপনার প্রথম বছরের বইয়ের খরচ, টিউশন ফি, থাকা খাওয়া এবং অন্যান্য জীবন যার সব ধরনের খরচ বহন করতে পারেন।
  • H1Bভিসা( বিশেষজ্ঞ কর্মী): এই ভিসার জন্য আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যাংক ব্যালেন্স থাকতে হবে। যাতে করে প্রথম কয়েক মাসের জীবন যাত্রার খরচ বহন করতে পারে।

আপনার আর্থিক পরিস্থিতি

  • আপনার যদি একটি স্থিতিশীল আয়ের উৎস থাকে, তাহলে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স কম হতে পারে এতে কোন সমস্যা হবে না।
  • আপনার যদি আর্থিক পরিস্থিতি ভালো হয়, তাহলে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স বেশি হতে হবেন।

আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা

  • আপনি যদি দীর্ঘদিন ভবনের পরিকল্পনা নেন এবং বাই বহুল এলাকায় যেতে চান। সেক্ষেত্রে আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স অনেক বেশি হতে হবে।যাতে করে নির্দিষ্ট সময় খুব ভালোভাবে খরচ করতে পারেন।
আমেরিকার ভিসার জন্য আপনি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বা কনসুলেটে আবেদন করার সময় আপনাকে সর্বশেষ ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। ব্যাংক স্টেটমেন্টে আপনারা আয়ের উৎস এবং নিয়মিত খরচের বিবরণ থাকতে হবে। আমেরিকা ভিসা পেতে কত টাকা প্রয়োজন হবে তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন। আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য একজন অভিবাসন ভালো আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করা সর্বোত্তম।

স্টুডেন্ট ভিসায় কি কাজ করা যায় আমেরিকায়

আপনি চাইলে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকাতে গিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য আমেরিকাতে যাবেন। সেখানে তিন মাসের বেশি অথবা সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অনুপস্থিত থাকা যাবে না। যদি কোন স্টুডেন্ট এই নির্ধারিত টাইম এর বেশি অনুপস্থিত থাকে তাহলে তার স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। 
তাই কাজ করার পাশাপাশি অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করতে হবে। এজন্য আপনাকে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতে হবে। যাতে করে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করার পরে জবটি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের হোটেল রেস্টুরেন্ট এবং বিভিন্ন অফিসে পার্ট টাইম জব করতে পারেন।

শেষ কথা- আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪

আপনি যদি আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় অথবা অন্য কোন ভিসায় যেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনেকগুলো প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ভিসা প্রসেসিং কার্যক্রম কমপ্লিট করতে হবে। উপরে আর্টিকেলে আমি আলোচনা করেছি আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ ২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি। 
আমি মনে করি একজন আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করার জন্য একজন ছাত্রের কি কি ডকুমেন্ট দরকার এবং কি পরিমানে টাকার প্রয়োজন এছাড়াও আরো খুঁটিনাটি সকল বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এ আর্টিকেল বিস্তারিত পড়ে থাকেন তাহলে মনে হয় আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে আপনার আর কোন প্রশ্ন না থাকা দরকার। 

এছাড়াও আমেরিকা ভিসার জন্য আপনি যখন চেষ্টা করবেন তখন আমেরিকা ভিসা প্রসেসিং ওয়েবসাইটে গিয়ে সকল ধরনের আপডেট তথ্য নিয়ে ভিসা প্রসেসিং এর জন্য অনলাইনে আবেদন অথবা কোন এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করায় ভালো হবে বলে মনে করি। প্রিয় পাঠক, আমার এই লেখা পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এবং আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪