সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার নিয়ম ২০২৪ (Full Guide)
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৪প্রিয় পাঠক, আজকে আমরা আলোচনা করব সরকারি ভাবে
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার নিয়ম
সম্পর্কে। আপনারা দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানার জন্য অনেক
খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু পাচ্ছেন না। আজকে আমি এই আর্টিকেলটিতে আলোচনা করতে
চলেছি আপনাদের কাঙ্খিত সেই প্রশ্নের উত্তর। এছাড়া এই আর্টিকেলটিতে আরো আলোচনা
করব।
সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি যোগ্যতা লাগে। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি
সম্পূর্ণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত পড়তে পারেন। তাহলে আপনার যত রকমের
প্রশ্ন আছে।সেগুলো প্রশ্নের সমাধান আপনি পেয়ে যাবেন। তো চলুন দেরি না করে আমরা
আমাদের মূল আলোচনার দিকে যায়। এবং মনোযোগ সহকারে লেখাগুলো পড়ে নিই।
ভূমিকাঃ
বর্তমান সময়ে বিদেশে চাকরির জন্য বেশিরভাগ মানুষ তাদের স্বপ্নের দেশগুলো পছন্দ
করে থাকেন। কারো পছন্দ থাকে ইউরোপা আমেরিকা আবার কারো থাকে অন্য কোন দেশ। তেমনি
একটি দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া যাদের যাওয়ার ইচ্ছা এবং স্বপ্ন তাদেরকে
অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু বেশি ।
আরও পড়ুন ঃ
কিভাবে টাকা সঞ্চয় করা যায়।
এবং কড়া নিয়ম কানুনের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ লাভ করতে হয়।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এজেন্সির দাড়া টাকা প্রদানের মাধ্যমে সেই দেশে যাওয়ার
সুযোগ হয়ে থাকে। কিন্তু সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে অনেক কঠিন ধাপ
অতিক্রম করে যেতে হয়।
আরও পড়ুন ঃ
সহজে টাকা জমানোর উপায়।
এগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন হয় দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা শেখা। তো চলুন
আমরা জেনে নেই সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য কোন কোন ধাপ আমাদেরকে
সম্পূর্ণ করার পরে যেতে হবে।
সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার নিয়ম ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার জন্য প্রথম অবস্থায় বুয়েসেলের ওয়েবসাইটে গিয়ে লটারির
জন্য আবেদন করতে হবে।প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং এপ্রিল মাসে দক্ষিণ
কোরিয়া লটারি জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ইপিএস এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায়
লটারিতে অংশগ্রহণ এর জন্য অনলাইনে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হয়।
আরও পড়ুন ঃ
রাতে তারাতারি ঘুমানোর উপায়।
এরপরে লটারি প্রকাশের পর লটারিতে নাম ওঠার পরে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার সুযোগ হয়।
বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথমে লটারি নিয়োগের মাধ্যমে প্রথম
অবস্থায় রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে বিশেষ নোটিশের মাধ্যমে বুয়েসেলের
অফিসিয়ালি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন ঃ
গোবর দিয়ে জৈব সার তৈরির উপায়।
এক্ষেত্রে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শারীরিক দক্ষতা এবং ভাষার উপর গুরুত্ব দিয়ে
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকে।
সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি যোগ্যতা লাগেঃ
বর্তমানে সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কি কি দক্ষতা লাগে তার একটি তালিকা
দিয়েছে বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (BOESL)।চলুন
দেখে নেই তালিকাটি।
- কোরিয়ান ভাষা পড়া, লেখা ও বুঝার পারদর্শিতা থাকতে হবে( এ সংক্রান্ত সনদ আবশ্যক)।
- বয়স সীমা হতে হবে ১৮ থেকে৩৯ বছর।(জন্মতারিখ জুলাই২৫,১৯৮৪ থেকে জুলাই২৪,২০০৫ এর মধ্যে হতে হবে)
- শিপবিল্ডিং খাতে নির্ধারিত প্রশিক্ষণ ও ন্যূনতম 1 বছরের অভিজ্ঞতার সনদ থাকতে হবে।
- শিপবিল্ডিং খাতে যে কোন কাজ করার আগ্রহ থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ হালনাগাদ থাকতে হবে।
- পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সঙ্গে নাম ও জন্মতারিখ এবং ছবির মিল থাকতে হবে।
- পোশাক পরিচ্ছেদ, আচার-আচরণ ও কথোপকথনে মার্জিত হতে হবে।
- কালার ব্লাইন্ডনেস রং বোঝার সক্ষমতার সমসামুক্ত হতে হবে।
- মাদকাসক্ত/ সিফিলিস সনাক্ত ব্যক্তিগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
- কোন মামলায় সাজা প্রাপ্ত ব্যাক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
- যারা দক্ষিণ কোরিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী তারা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
- ইপিএস এর আওতায় বর্তমানে রোস্টার ভুক্তগণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
- দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে এমন ব্যাক্তি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
- ই - ৯ বা ই-১০ ভিসায় কোরিয়াতে ৫ বছরের বেশি অবস্থান কারিগন অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
সূত্রঃ বুয়েসেল ফেসবুক পেজ।
সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য ভাষা কোথায় শিখবেনঃ
সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা শিখতে
হবে। দক্ষিণ কোরিয়া ভাষা শেখার জন্য আপনি বাংলাদেশে অবস্থিত টিটিসি কেন্দ্রগুলো
থেকে ভাষা শিখতে পারেন অথবা বিএম ই টি এর মাধ্যমে ভাষা শিখতে পারবেন অথবা
বাংলাদেশে অবস্থিত বুয়েসেল অথবা বিএম ই টি এর মাধ্যমে বিভিন্ন কোর্স সম্পূর্ণ
করতে পারবেন।
আরও পড়ুন ঃ
অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায়।
এক্ষেত্রে অবশ্যই কোর্স কমপ্লিট করার পরে আপনি একটি সার্টিফিকেট পাবেন। এই
সার্টিফিকেট দক্ষিণ কোরিয়াতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে লাগবে। ভাষা শিখার
পরেও যদি কোন কারনে আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে না পারলেও বাংলাদেশে অবস্থিত
দক্ষিণ কোরিয়া অনেক কোম্পানি আছে। সেগুলোতে উচ্চ বেতনে আপনি কাজ করতে
পারবেন।
আরও পড়ুন ঃ
রাতে ঘুম না আসার কারন।
অথবা নিজে একটা ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করে যে সমস্ত ব্যক্তিরা দক্ষিণ কোরিয়াতে
যেতে চাই তাদেরকে ভাষা শিক্ষা দিতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে এরকম অনেক
প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে যেগুলোতে শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা শেখানো হয়ে
থাকে।
সরকারি ভাবে গেলে দক্ষিণ কোরিয়ায় বেতন কতঃ
দক্ষিণ কোরিয়া যেতে যেমন অনেক কঠিন ধাপ পার হতে হয়। তেমনি একবার কোরিয়া যেতে
পারলে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হয়ে যায়। উচ্চ বেতনের জন্য বাংলাদেশিরা করিয়া
যাওয়ার জন্য বেশি উৎসাহিত হয়। তবে দক্ষিণ কোরিয়াতে দক্ষ শ্রমিকদের প্রচুর
মূল্যায়ন করা হয়।
একজন শ্রমিক কোরিয়ান ভাষা শিখে এবং কাজের দক্ষতা নিয়ে সরকারি ভাবে কোরিয়াতে
যায় তাহলে তার বেতন হতে পারে ২লক্ষ টাকারও বেশি।তবে উচ্চ বেতনের জন্য অবশ্যই
আপনাকে দক্ষ হয়ে যাওয়ায় ভালো।
সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত টাকা লাগেঃ
দক্ষিণ কোরিয়া বর্তমানে আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় শ্রমবাজার। দক্ষিণ কোরিয়া
শ্রমবাজার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে বিভিন্ন রকম কারণ রয়েছে। এ
কারণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় যেটি সেটি হল কোরিয়া যেতে কম টাকা লাগে এবং দক্ষিণ
কোরিয়ায় শ্রমিক হিসাবে গেলে অনেক বেশি বেতন পাওয়া যায়।
যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। দক্ষিণ কোরিয়াতে যাওয়ার অনেক রকমের উপায়
রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম উপায় হলো সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া
যাওয়া। কারণ সরকারিভাবে কম খরচে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। সরকারিভাবে দক্ষিণ
কোরিয়া যেতে মোট খরচ হয় ২৪০,৬৭০ টাকা।
এই টাকার মধ্যে জামানত হিসেবে বুয়েসেলে জমা দিতে হয় ১ লাখ টাকা বাকি টাকা গুলো
দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার খরচ হিসেবে ধরা হয়। চলুন নিচে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে কত
টাকা খরচ হয় তা জেনে নেই।
- বোয়েসেলের জামানত =১,০০,০০০ টাকা।
- সার্ভিস চার্জ =৩৭,৯৭০+৩,২০০ টাকা ।
- বিমান ভাড়া =৭৭,০০০ টাকা।
- হোটেল ভাড়া+করোনা টেস্ট+সিফিলিস টেস্ট =২১,০০০ টাকা ।
- যক্ষা টেস্ট =১,৫০০ টাকা।
- সর্বমোট =২,৪০,৬৭০ টাকা।
কেন সরকারি ভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া ভালোঃ
সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার মাধ্যমে আপনি অনেক সুযোগ-সুবিধার পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেই সেগুলো কি কি।
- অল্প টাকায় দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়।
- সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া গেলে কোন প্রতারণার সুযোগ নেই।
- সরকারীভাবে দক্ষিণ কোরিয়া গেলে মাসে দুই লাখেরও বেশি ইনকাম করা যায়।
- সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যেতে অতিরিক্ত খরচ হয় না।
- সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া গমন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হয়।
- কোন প্রকার দুর্নীতি ছাড়াই দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়।
- সপ্তাহের সাত দিনে পাঁচ দিন ডিউটি দুই দিন ছুটি থাকে।
- দক্ষিণ কোরিয়াতে সামাজিক নিরাপত্তা পাওয়া যায়।
- কাজের পরিবেশ অনেক ভালো।
- দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রচুর নিরাপত্তাতে কাজ করা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়া টাকার মান কতঃ
প্রতিটি দেশের টাকার মান সেই দেশ অপেক্ষা অন্য দেশের সাথে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে।
তবে এ টাকার মান আবার বিভিন্ন সময় উঠানামাও করে থাকে। এখন আমি আপনাদের টাকার
মানের যেই তালিকা দিব। সেই তালিকা আপনি যখন দেখবেন তখন হয়তো বা ওঠানামা করতে
পারে। অর্থাৎ টাকার মান কমবেশি হতে পারে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক টাকার মান
কেমন।
- দক্ষিণ কোরিয়া উয়ন = বাংলাদেশী টাকা
- ১ উয়ন= ০.০৮৪৫০৬৫ টাকা।
- ৫উয়ন= ০.৪২২৫৩৩ টাকা।
- ১০উয়ন= ০.৮৪৫০৬৫ টাকা।
- ২৫ উয়ন= ২.১১২৬৬ টাকা।
- ৫০উয়ন= ৪.২২৫৩৩ টাকা।
- ১০০উয়ন= ৮.৪৫০৬৫ টাকা।
- ৫০০উয়ন= ৪২.২৫৩৩ টাকা।
- ১,০০০উয়ন= ৮৪.৫০৬৫টাকা।
- ৫,০০০উয়ন= ৪২২.৫৩৩ টাকা।
- ১০,০০০উয়ন= ৮৪৫.০৬৫ টাকা।
লটারি ছাড়া কোরিয়া যাওয়ার উপায়ঃ
সরকারি অথবা বেসরকারি যেভাবেই যেতে চান না কেন সব মাধ্যমে আপনাকে ভাষা শিখতে হবে।
লটারি ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে কোরিয়ান ভাষা শিখে তারপর
ভিসার জন্য আবেদন করা ভালো। লটারি ছাড়া কিভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায় সেই
উপায় গুলো আপনাকে ফলো করতে হবে। চলুন জেনে নেই লটারি ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া
যাওয়ার উপায় সম্পর্কে।
- প্রথমে আপনাকে কোরিয়ান ভাষা শিখতে হবে লিখতে হবে বুঝতে হবে।
- ভাষা পারদর্শী হিসেবে আবেদন করা।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা এস এস সি অথবা সম্মান।
- আবেদন ফি প্রদান করা।
- স্কিল টেস্টে অংশগ্রহণ করা।
- প্রবেশপত্র সংগ্রহ করা।
- ভিসা ফরম জমা দেওয়া।
- করিয়া মালিক কর্তৃক সিলেক্ট হওয়া।
- বোয়েসেল কর্তৃক ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করা।
- দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করা।
মূলত এই প্রসেস গুলো অবলম্বন করে লটারি ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়া যায়। তবে সব
চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি হলো সেটি ভাষা শিখে যাওয়া।
স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় যাওয়ার নিয়মঃ
Study in South korea বাংলাদেশ থেকে অনেকের স্বপ্ন থাকে দক্ষিণ কোরিয়া গিয়ে
পড়াশোনা করার। কারণ এশিয়ার অন্যতম সেরা সেরা ইউনিভার্সিটি গুলো দক্ষিণ
কোরিয়ায় অবস্থিত। অনেকের ইচ্ছা থাকা শর্তেও সঠিক গাইড লাইনের অভাবে দক্ষিণ
কোরিয়া যেতে পারে না। স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যেতে যেগুলো নিয়ম মেনে
যেতে হয়।
- সর্বপ্রথম পাসপোর্ট এবং ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
- তারপর আপনার ডকুমেন্ট গুলো ঠিক করতে হবে।
- শিক্ষা মন্ত্রণালয় ফরেন মিনিষ্টির ছাড়পত্র জোগাড় করতে হবে।
- এরপর দক্ষিণ কোরিয়া ইউনিভার্সিটিতে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে হবে।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মেডিকেল ফিট সার্টিফিকেট জোগাড় করতে হবে।
- টিউশন ফি জমা দিতে হবে।
- এরপর স্টুডেন্ট ভিসার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া এম্বাসি ফেস করতে হবে।
- এরপর যদি আপনার ভিসা হয় তাহলে আপনার বিমানের টিকেট প্লাস অন্যান্য শপিং করা লাগবে।
মূলত একটা ছাত্রের জন্য এই ফরমালিটিস পূরণ করে দক্ষিণ কোরিয়াতে পড়াশোনার জন্য
যেতে হয়। তাছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াতে স্টুডেন্ট ভিসাতে যেতে পারবে না।
স্টুডেন্ট ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া যেতে খরচঃ
দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে আপনাকে প্রথমে পাসপোর্ট+ আইইএলটিএস অথবা
টপিক দক্ষতা অর্জন করতে হবে যার ফি গুলো আপনার বহন করতে হবে। তারপরে আপনাকে
ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে হবে।এক্ষেত্রে আবেদন করতে university ভেদে ৬থেকে ১০
হাজার টাকা খরচ হতে পারে।
তারপর আপনার সকল কাগজ পত্র সম্পন্ন এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ইত্যাদি করার জন্য আরও
৪থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।এছাড়া ইউনিভার্সিটির টিউশন ফি বিভিন্ন রকম হয়ে
থাকে। তবে ২৫০০ ডলার হতে পারে। যা বাংলাদেশী টাকায় ২.৫ লক্ষ টাকা প্রায়। এরপর
ভিসার জন্য এম্বাসি ফেস করা। এমব্যাসি ফি হিসাবে ৬ হাজার টাকা জমা দিতে
হবে।
এরপর যদি আপনার ভিসা হয় তাহলে যা খরচ হবে সেগুলো আপনাকে করতে হবে। এছাড়া ভিসা
বাবদ কোন টাকা খরচ হয় না। স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনার ৬থেকে ৭ লাখ টাকা লাগবে।
আর আপনি যদি এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে ৮ লক্ষ টাকা লাগবে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় ই-৯ ভিসা ১০ বছর করার পরিকল্পনাঃ
বর্তমান আইন অনুযায়ী একজন ই-৯ কর্মী দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রবেশের পর ৪ বছর ১০ মাস
ওই দেশে অবস্থান করতে পারবে। এই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কোন ব্যক্তি পুনরায়
আবার আসতে চাইলে তাদেরকে বিভিন্ন নিয়ম কানুন এর মধ্যে দিয়ে আসতে হবে। এ কারণে
অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানি গুলোর জন্য কঠিন হয়ে পরে দক্ষ শ্রমিক ধরে রাখা।
তবে ভালো একটি খবর এই নিয়মে পরিবর্তন আনছে দক্ষিণ কোরিয়া। নতুন নিয়ম অনুযায়ী
কোন ই-৯ শ্রমিকে একই কোম্পানিতে ৩০ মাস বা প্রথম কোম্পানিতে ২৪ মাস থাকতে হবে।
এরপর সেই কোম্পানির মালিক চাইলে তাকে দক্ষ শ্রমিক হিসাবে ১০ বছরের ভিসার জন্য
আবেদন করাতে পারবেন। এক্ষেত্রে উৎপাদন খাত ছাড়াও নির্মাণ এবং কৃষি ক্ষেত্রে ও ১০
বছর ভিসা বৃদ্ধি করা যাবে।
তবে এক্ষেত্রে শ্রমিককে তার প্রথম কোম্পানিতে ১৬ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত কাজ করতে
হবে। বর্ধিত ভিসার ক্ষেত্রে শ্রমিককে অবশ্যই কোরিয়ান ভাষা সোশ্যাল ইন্ট্রিগেশন
প্রোগ্রাম বা টপিক লেভেলস সম্পূর্ণ থাকতে হবে ।কোন শ্রমিক পরবর্তীতে সর্বোচ্চ
কতদিনের ভিসা পাবে তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
লেখকের মন্তব্যঃ
দক্ষিণ কোরিয়া অনেকের স্বপ্নের দেশ আর স্বপ্নের দেশ কেন নয়। যেখানে সবকিছু
অন্যতম এশিয়ার সব বড় বড় ইউনিভার্সিটি সব দক্ষিণ কোরিয়াতে। যা পড়াশোনা
ক্ষেত্রে পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম। এছাড়া কাজ কর্মের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিবছর
কয়েক হাজার লোক নিয়ে থাকেন। আপনি দক্ষিণ কোরিয়া অল্প টাকা খরচের বিনিময়ে যেতে
পারেন।
এবং আপনার দক্ষতা অনুযায়ী ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করার
সুযোগ থাকে। তবে এই স্বপ্নের দেশে আপনাকে পাড়ি জমাতে হলে কঠিন ধাপ পার করতে হয়।
এই কঠিন ধাপগুলো পার করার মাধ্যমে আপনি একজন দক্ষ শ্রমিক হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়াতে
প্রবেশ করতে পারবেন।
তবে দক্ষিণ কোরিয়াতে যেতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম কোরিয়ান ভাষা শিখে যেতে হবে।
কোরিয়ান ভাষা না শিখলে আপনার জন্য এই দেশটি অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তাই কোরিয়ান
ভাষা শেখা অতি জরুরী। প্রিয় পাঠক আমার লেখা পড়ে যদি আপনার ভালো লাগে।
তাহলে আপনি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং আরো কিছু জানার থাকলে
কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url